সিঙ্গাপুরে প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসা শেষে আগামীকাল বুধবার দেশে ফিরছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জননেতা ওবায়দুল কাদের।
বুধবার তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, “আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আগামী কাল সন্ধ্যায় ঢাকা পৌঁছাবেন। বিমানবন্দরে আমরা তাকে দলের পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানাব।”
৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন।
গত ২ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা।
অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে।
কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে।
এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লও চিকিৎসকরা ‘চেকআপের জন্য’ আরও কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন।
এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরও রয়েছেন।