আজ মধ্যরাত থেকে মেঘনায় ইলিশ শিকারে যাবেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা

ডালিম কুমার দাস টিটু:

আজ সমবার মধ্য রাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে । মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। এর মধ্যে জাল ও নৌকাসহ সব ধরণের কাজ সেরে নিয়েছেন জেলেরা। জেলা মৎস্য বিভাগ বলছেন,নিষেধাজ্ঞায় নদীতে মাছধরা থেকে বিরত থাকায় ২২ দিনের জন্য জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে চাল প্রদান করা হবে। তবে আর্থিকভাবে এবং চালের পরিমান আরো বাড়িয়ে দিলে জেলেরা উপকৃত হবে। খাদ্য সহায়তা না দিয়ে আর্থিকভাবে নগদ অর্থ এবং ফেরত যোগ্য ব্যাংক লোন চান তারা।

 

চান্দ্রমাসের ভিত্তিতে প্রধান প্রজনন মৌসুম ধরে এ বছর আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের পূর্ণিমার দিন এবং এর আগে চার ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। ছোট ইলিশ (জাটকা) সংরক্ষন ও মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের জন্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। মেঘনা নদী নির্ভরশীল সরকারি তালিকায় এদের মধ্যে ৪৩ হাজার ৪ শত ৭২ জন জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এরা মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইলিশ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণে লক্ষ্মীপুর রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনাল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় ৪ অক্টোবর ২০২১ থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২১ মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন জাটকাসহ সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। এসময় বিকল্প কর্ম সংস্থানের ব্যাবস্থা না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে দিন কাটানোর চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ অবস্থায় আছেন বলছেন জেলেরা।

 

জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। ২২ দিনের অভিযানে খরচের হিসাব মিলাতে গিয়ে অনেকে ছাড়েন দীর্ঘশাস। ২০ কেজি চাল সরকারের পক্ষ থেকে পেলেও ২২ দিনের জন্য এটা খুবই সামান্য । ইলিশ শীকারে ২২ দিন নিষেধাজ্ঞার পর করোনা পরিস্থিতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে আবারও পুরোদমে মাছ ধরার লক্ষে ইলিশ আহরণে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। অভিযানের ২২ দিন জেলেদের জন্য চাল দেয়ার কথা থাকলেও অনেকে এখনও চাল পাননি অনেক জেলে। আবার জেলে হয়েও অনেকের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি । জেলেরা বলছেন, তাদের ২২ দিন চলে গেলেও জেলে নামের ভিজিএফের চাল এখনো পাননি তারা ।

 

তবে চাউল নয়, আর্থিক সহযোগীতা এবং ফেরত যোগ্য ব্যাংক লোন চান জেলেরা।জেলেরা জানান, মুদি দোকানে বাকি , চায়ের দোকানে বাকি, অভিযান শেষে মাছ ধরে দেনা পরিশোধ করবো। ২০ কেজি চাউল ২২ দিন চালানো টা খুবই হিমশিম খেতে হয় । নৌ পুলিশের ইনচার্জ কামাল বলেন, এবারের ২২ দিনের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।মাঝে মাঝে কিছু দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে নদীতে, সেক্ষেত্রে যদি জেলেদের ট্রলার চালানোর প্রশিক্ষনটি দেয়া হয় তাহলে হয়তো এমন দুর্ঘটনা ঘটবেনা ।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা,আমিনুল ইসলাম বলছেন, ২০ কেজি চাউল জেলেদের জন্য বড় ধরণের একটি সাপোর্ট তবে আর্থিক সহযোগিতা বা চালের পরিমান বাড়িয়ে দিলে তারা আরেকটু উপকৃত হবে। ২২ দিনের অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর তুলনায় লক্ষ্মীপুরে এবারের লক্ষমাত্রা আরো বাড়বে। জেলেরা চাচ্ছেন নগদ টাকা হোক ফেরতযোগ্য লোন।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: