মেঘনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে ”কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের” উদ্যেগে বিশেষ দোয়া

ডালিম কুমার দাস টিটু ঃ লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙ্গন থেকে বাঁচতে কমলনগর – রামগতি বাঁচাও মঞ্চের উদ্যেগে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করেছেন সংগঠনটি । দীর্ঘদিন থেকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার  ভাঙন আতঙ্ক দিন দিন বেড়েই চলছে । মেঘনার ভাঙ্গনে প্রতিদিনই রামগতি কমলনগরের মানুষ নিঃস্ব হচ্ছেন। এরিমধ্যে নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে লক্ষ্মীপুর কমলনগরে নদীর তীরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ।  নদী ভাঙ্গন রোধের একটি প্রতিবাদী সংগঠন রামগতি-কমলনগর বাঁচাও মঞ্চের’ উদ্যোগে  শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের লুধুয়া এলাকায় মেঘনার তীরে এ অনুষ্ঠান হয় । এতে স্থানীয় অনেক অসহায় মানুষ উপস্থিত ছিলেন । এ সময় ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা মেঘনার অব্যাহত ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর দরবারে সাহায্য প্রার্থনা করেন। হাজীরহাট কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা গিয়াস উদ্দিন দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।এর আগে মেঘনার ভাঙনরোধে ওই দুই উপজেলায় সরকারি প্রকল্প বেড়ি বাঁধের ৩ হাজার ১শ কোটি টাকার দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা । এসময় উপস্থিত ছিলেন কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হুমায়ুন কবির এবং সংগঠনের উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন শাকিল প্রমুখ । বক্তারা জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায়   মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ১শ কোটি টাকা অনুমোদন দেন । ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি কমলনগর উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়নের নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজের ধীরগতি স্থানীয় মানুষগুলোকে হতবাক করে দেয় ।  যতটুকু কাজ হওয়ার কথা  তার একভাগও সম্পন্ন হয়নি । এছাড়াও কয়েক মাস ধরে কাজ বন্ধ করে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো । স্থানীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারি কর্মকর্তদের কোন ভূমিকাই নেই । এতে করে শংকাতে আছেন নদী ভাঙ্গা উপকুলীয় অঞ্চলের লাখো মানুষ । আদৌ নদী বাঁধ হবে কিনা এ নিয়ে চিন্তায় দিন পার করছেন এলাকাবাসী । কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার পালোয়ান আবেগে আপ্লুত হয়ে যান , তিনি বলেন, ‘মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের  দাবি জানিয়ে আমি আমার কমলনগর রামগতির জনগনকে সাথে নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি । অবশেষে একনেকে পাশ হয়েছে ৩ হাজার ১শ কোটি টাকা । কিন্তু কাজ শুরু করতে না করতেই বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে ভাঙন আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ  হচ্ছে ।  অতি দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য ব্যবস্থা নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি । এসময় তিনি বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক নেতা হতে আসিনি , আমি কোটি টাকা লাভের আশায় সংগ্রাম করিনা তাহলে কেন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হবে । বাঁধ নির্মানের দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করায় আমি কেন হামলার শিকার হবো? আমিতো আমার এলাকার অসহায় জনগনের ভিটে মাটি রক্ষায় আন্দোলন করছি । এসময় দ্রুত বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু করার দাবি জানান তারা।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: