Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Home

” গলি বয় ,গলি থেকে উঠে আসা র‍্যাপারের গল্প “

 

মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তির সরু গলি থেকে উঠে আসা র‍্যাপারের গল্প হল ‘গলি বয়’। বাস্তবের র‍্যাপার ডিভাইন এবং নাইজি-র জীবন থেকে হালকাভাবে তুলে আনা এই ছবির গল্প। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাঁচতে-বাঁচতে মুরাদ (রণবীর) স্বপ্ন দেখে সে একদিন র‍্যাপার হবে। কলেজে পড়তে পড়তেই লোক চক্ষুর আড়ালে সে খাতায় কবিতা লেখে। একদিন সাক্ষাৎও হয়ে যায় সত্যিকারের এক র‍্যাপ গায়ক শের (সিদ্ধান্ত)-এর সঙ্গে। শের তাকে শেখায় র‍্যাপ হল এক ধরনের কবিতা। শের জানায় মুরাদের ভিতর সেই কবিতা রয়েছে, কিন্তু রয়েছে ছন্দের অভাব। এর পরে রাতের পর রাত জেগে সেল ফোনে রেকর্ড করে মুরাদ সেই কবিতা, লক্ষ্য রাখে কবিতার শরীরে ছন্দ আসছে কিনা।

মুরাদের প্রেমিকা সাফিনা (আলিয়া)। ডানপিটে মেয়ে, কিন্তু প্রেমিকের প্রতি ভয়ঙ্কর অবসেসিভ। অন্য কোনও মেয়ে মুরাদের দিকে নজর দিলেই সে হাত-পা চালিয়ে দেয়। কিন্তু মুরাদের সংগীতের প্রতি প্রেমকে সে আমলও দেয়।
ছবির গল্প এগোতে থাকে ঠিক যেভাবে ধীরে ধীরে মুরাদ প্রকৃত র‍্যাপার হয়ে ওঠে। ক্রমশ মুরাদের কবিতার মধ্যে এসে পড়ে তার চারপাশের জগত। বস্তির ছোট ঘরে বসবাসের যন্ত্রণা, মায়ের প্রতি বাবার অবহেলা। ও লক্ষ্য করে বস্তির শোষিত মানুষের চোখ মুখের অভিব্যক্তি, ও প্রতিবাদ করে বস্তির ছোটদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করায়। আর এই সব কিছুর বিরুদ্ধে তার রাগ, আর সেই রাগ প্রতিফলিত হয় ওর কবিতায়।

মুরাদের স্বপ্ন সার্থক হবে কিনা, আদৌ সে শ্রেষ্ঠ র‍্যাপার হতে পারবে কিনা, এই নিয়ে ছবির গল্প এবং টেনশন। যেহেতু একদম স্ক্র্যাচ থেকে উঠে আসছে মুরাদ সাফল্যের শীর্ষে, তাই মুরাদের এই জার্নি পর্দায় দেখাতে জোয়া আখতার একটু বেশি সময় নিয়েছেন। এই কারণে ছবির চলন একটু ধীর গতির। কিন্তু যেহেতু কনটেন্ট অত্যন্ত জরুরি, তাই এই ঢিমে তালে চলা দর্শক গ্রহণ করেছেন।

ছবিতে গান এবং কবিতার উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগীতের ক্ষেত্রে পরিচালককে সহায়তা করেছেন মুম্বইয়ের প্রথম শ্রেণির সমস্ত র‍্যাপারেরা। ফলে র‍্যাপ-কেন্দ্রিক অথেন্টিসিটি নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। মুরাদের কবিতা লিখেছেন স্বয়ং জাভেদ আখতার। আর কাহিনি-চিত্রনাট্য পরিচালকের সঙ্গে লিখেছেন আরেক পরিচালক রিমা কাগতি। ফলে সব মিলিয়ে ‘গলি বয়’ হয়ে উঠেছে এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা।

মুরাদের ভূমিকায় রণবীর সিং যে-মাপের অভিনয় করেছেন, তা বলিউড মেনস্ট্রিম ছবির মাপের অনেক উর্দ্ধে। তিনি ছাড়া এই অভিনয় আর কেউ করতে পারতেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। আলিয়া ভাট সম্পর্কে নতুন করে ‘ভালো’ বলা বাহুল্য মাত্র। তবে চমকে দিয়েছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদি। রণবীরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ছবিতে। মার্কিন দেশ থেকে উড়ে আসা এক সংগীতের ছাত্রী স্কাই (কলকি)-এর ভূমিকা ছবিতে খানিক বাড়তি মেদ এনে দিয়েছে। এই মেদ বর্জিত হলে ছবির দৈর্ঘ্য হয়তো কমত, কিন্তু কলকির মতো অভিনেত্রীর স্বল্প উপস্থিতি ছবিটিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।

Related Articles

how do you feel about this website ?

Back to top button
%d bloggers like this: