Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
Home

দুই যুগ কারা ভোগের পর মুক্ত হলেন মিলন , জিবীকার জন্য উপহার হিসেবে পেলেন হেয়ার কাটিং সেলুন

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে শিশু অপহরণ মামলায় যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারদন্ড হওয়ার পর ২৪ বছর কারাভোগ করে অবশেষে সম্প্রতি কারামুক্ত হলেন মিলন কামাল নামের এক ব্যাক্তি। কারাগারে শ্রম ও ভালো আচার-ব্যবহারে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে মিলনের ৬ বছরের সাজা মওকুপ করে মুক্তি দেন। দীর্ঘ কারা জীবন শেষে বাড়ীতে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছিলেন মিলন। এমন খবর পেয়ে তার জীবন নির্বাহের জন্য উপহার হিসেবে হেয়ার কার্টিং সেলুনের ব্যবস্থা করে দেয় জেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে সেলুনটি তাকে বুঝিয়ে দেন জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার তাহমীদ সুপার মার্কেটে মা হেয়ার কার্টিং সেলুন নামে পরিচালিত হবে দোকানটি।
জানা যায়, শিশু কুসুম আক্তার অপরহরণ মামলায় ১৯৯৭ সালে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদন্ড হয় তৎকালীন যুবক মিলন কামালের। গ্রেফতারের পর সাজার খবরে বিয়ের ৫ বছর পর স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। একমাত্র সন্তানটিও মারা যায়। এরপর দীর্ঘ ২৪ বছর কারাভোগ করে সে। এসময় কারাগারে শ্রম হিসেবে চুল কাটতো মিলন। তার শ্রম ও ভালো আচার-ব্যবহারে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তার ৬ বছরের সাজা মওকুপ করে অবশেষে সম্প্রতি তাকে মুক্তি দেয়। ৫২ বছর বয়সে এসে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরে মিলন তার বৃদ্ধ মাকে ছাড়া আর কাউকে পাননি। মাসহ বাকি জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন মিলন। এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হন। এরপর অপরাধী সংশোদন ও পূনর্বাসন সমিতির আওতায় মুক্তিপ্রাপ্ত মিলনকে এদিন কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে মিলন বলেন, জীবনে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি, আর হারাতে চাইনা, ভালো কিছুতে বেঁচে থাকার স্বপ্নে এখন তার মুখে বেশ হাসি-খুশি।
জেলা প্রশাসক বলেন, দীর্ঘ কারাভোগ শেষে যেন মুক্তিপ্রাপ্তরা আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে এবং নিজের ও পরিবারের জন্য বোঁঝা না হয় সেজন্য প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আয় বর্ধক কর্মে তাদের নিয়োজিত করতে হবে। তারাও সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করাটা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তররের উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের, জেলার সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

Related Articles

how do you feel about this website ?

Back to top button
%d bloggers like this: