ডালিম কুমার দাস টিটু ঃ লক্ষ্মীপুর জেলার উপকুলীয় অঞ্চল হিসেবে রামগতি-কমলনগর বাংলাদেশের মধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মধ্যে অন্যতম একটি । দীর্ঘ সময় এই ভাঙ্গনকে জীবনের সঙ্গী করে বাাঁচার জন্য যুদ্ধ করছে প্রতিনয়ত এই এলাকার মানুষগুলে । কিন্তু তারপরও রেহাই পায়নি সর্বনাশা মেঘনা নদীর করাল গ্রাশ থেকে । অনেকে হারিয়েছে একরের পর একর সম্পত্তি আবার অনেকে হারিয়েছে বাপ দাদার ছোট্ট একটু ভিটে মাটি । বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে । ২০১৪ সালে রামগতি ও কমলনগরের মেঘনার তীর রক্ষাবাঁধ নির্মাণে একনেক সভায় ১৩৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। এ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রামগতির আলেকজান্ডার এলাকায় সাড়ে তিন কিলোমিটার স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। যা এখনো অক্ষত থাকার পাশাপাশি বাড়িয়ে দিয়েছে অবহেলিত চরাঞ্চলের সৌন্দর্য্য।একই প্রকল্পের অধীনে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কমলনগর এলাকায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন যা এক বছরের মধ্যেই রক্ত বিহীন ক্ষত হয়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে অদৃশ্য কারণে প্রকল্পটি বাতিল হয়। যার ফলে ভাঙ্গন থেকে যায় অরক্ষিত। তবে এবারের প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। কিন্তু ভাঙ্গন রয়ে গেছে প্রায় ৩২ কিলোমিটারের বেশি । এরিমধ্যে চলতি বছরের পয়লা জুনে বর্তমান সরকারের মহতি উদ্যেগে একনেকে ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বরাদ্দে একটি প্রকল্প পাশ হয় । যা বাস্তবায়ন হলে বৃহত্তর রামগতি কমলনগরের মানুষ নদীর করাল গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। রামগতি কমলনগরের বেড়িবাঁধ এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র । সেই অপেক্ষায় আছে এখন নদীর কুলবর্তী মানুষগুলো। এই বেড়িবাাঁধের জন্য বছরের পর বছর আন্দোলন সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম একজন আবদুস সাত্তার পালোয়ান’ । পেশায় একজন আইনজিবী । জন্ম ভাঙ্গন কবলিত অঞ্চল কমলনগরে। ছোট বেলা থেকে মানুষ ও মানবতার জন্য কাজ করেন তিনি । বাবা মরহুম আব্দুস সোবহান পালোয়ানও ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক । এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলীত মানুষ গুলোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এই তরুন সমাজসেবক সত্তর পলোয়ান । নদীন ভাঙ্গন রোধে একটি সংগঠন “কমলনগর রামগতি বাাঁচাও মঞ্চ” ও ঢাকা টু লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই পরিষদ প্রতিষ্ঠাও করেন তিনি । এবং এই সংগটনের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । এই আন্দোলনরত সংগঠনটির মাধ্যমে এলাকার জনগনকে নিয়ে বেড়িবাাঁধ নির্মানের জন্য অনেক আন্দোলন করেছেন ঢাকা সুপ্রীম কোর্টের আইনজিবী তরুন সমাজ সেবক রমগতি কমলনগরবাসীর অহংকার আব্দুস সত্তর পলোয়ান । অবশেষে একনেকে বেড়িবাঁধ প্রকল্প পাশ হওয়ার মাধ্যমে নিজের কষ্টের সফলতাও খুঁজে পেলেন । বিশেষ কিছু বিষয় নিয়ে আবদুস সাত্তার পালোয়ানের ‘সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার নিজের ব্যাক্তিগত কোন চাওয়া বা পাওয়া নেই আমার যা চাওয়া কমলনগর রামগতির নদী ভাঙ্গা মানুষ গুলোর জন্য । বর্তমান সরকােরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে ধন্যবাদ অতিতে কোন সরকার এমন উদ্যেগ গ্রহন করেনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যেগ আমাদের কমলনগর রামগতির মানুষ চিরকাল মনে রাখবে এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি । সেই সাথে অতি দ্রুত বেড়িবাাঁধের কাজটি শুরু হলে অনেক ঘরবাড়ি ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে । এবং এই বেড়িবাাঁধের পুরো কাজটি যাতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে করা হয় রামগতি কমলনগর বাাঁচাও মঞ্চের নেতা হিসেবে সরকারের কাছে অনুরোধ করেন । রামগতি কমলনগর বেড়িবাঁধের বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র । নদীকুলের মানুষগুলো এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কাজ শুরু হলে তাদের বাঁচার উপায় দৃড় হবে । এখনো মনোবল সংকটে আছেন স্থানীয়রা। তাই অতি দ্রুত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজ শুরু করার অনুরোধ জানান স্থানীয়রা।
দ্রুত বেড়ি বাাঁধের কাজ শুরুর অনুরোধ রামগতি কমলনগরবাসীর , নদী ভাঙ্গা মানুষের পাশে আছেন আবদুস সাত্তার পালোয়ান’
