ডালিম কুমার দাস টিটু ঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের জেলা-উপজেলা , ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড সব জায়গায় শুরু হয়েছে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন । লক্ষ্মীপুর ও কিন্তু তার ব্যাতিক্রম নয়। এরিমধ্যে উপজেলাগুলোর সম্মেলন শেষ হয়েছে । আগামী ২১ নভেম্বর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠিত হবে । তৃণমূল নেতাকর্মীদের ইচ্ছা নতুন নেতৃত্ব আসুক লক্ষ্মীপুর জেলায় ,দলীয় কাঠামো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে হাঁটুক এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা। যারা নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত না থেকে দলকে শক্তিশালী করতে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সঠিক আদর্শকে তুলে ধরে জেলাবাসীর কল্যানে কাজ করবে ।
ইতিমধ্যে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সব জায়গায় একই গুঞ্জন ,কে আসছে আগামী জেলা আওয়ামীলীগের কর্ণধার হয়ে। তবে তৃণমূল আওয়ামীলীগের প্রত্যাশা এমন নেতৃত্ব আসবে যে প্রধানমন্ত্রীর রোল মডেলের বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে । জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার আপামর জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে এবং জেলার সার্বিক উন্নয়ণে ভূমিকা রাখবে । তেমনই একজন ব্যাক্তি জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে শীর্ষ পদে (সাধারণ সম্পাদক) আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন । যিনি একসময় ঢাকার রাজপথ কাঁপিয়েছেন ’জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধ শ্লোগানে । আওয়ামীলীগের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যিনি সাহসের সহিত ১৫ আগষ্টের শোক দিবসে ঢাকা কলেজে কালো পতাকা উত্তোলণ করেছেন । তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক , দুঃসময়ের আওয়ামীলীগের কান্ডারী ,প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ,ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি এএফ জসিম উদ্দিন । দলকে ভালোবেসে মুজিবের আদর্শকে অনুসরণ করে লোভ হিংসার উর্দ্ধে দলের জন্য নি:স্বার্থভাবে কাজ করেছেন এই নেতা। আসছে আগামী ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদের (সাধারণ সম্পাদক) দায়িত্ব দিয়ে দলকে আরো বেশি সক্রিয় এবং গতিশীলতা আনার প্রত্যাশা করেন নেতাকর্মীরা।
এএফ জসিম উদ্দিন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২১ নং টুমচর ইউনিয়নের ছফি উল্যাহ হাজী বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ছোটবেলা থেকে মুজিবের আদর্শকে বুকে ধারণ করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন । কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি তিনি । এএফ জসিম উদ্দিন একজন উচ্চ শিক্ষিত মার্জিত ব্যাক্তি, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, লোভ হিংসার উর্দ্ধে দলীয় কাঠামো অনুযায়ী দলিয় কর্মীদের পরিচালনা করার ক্ষমতা রাখেন। তার নেতৃত্বে জেলার দলীয় কর্মকান্ড সঠিকভাবে হবে বলে মনে করেন জেলাবাসী। এএফ জসিম উদ্দিনের মত একজন সৎ ,যোগ্য ,ত্যাগী নেতাকে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে আনা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তারা। তিনি এমন একটা সময় পার করেছেন যখন আওয়ামীলীগের প্রতিকূল পরিস্থিতি ছিলো ,তার মত নেতারা জয় বাংলা ,জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান নিয়ে ঢাকার রাজপথে বের না হলে স্বৈরাচারেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতো।
সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এই নেতা । মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে তাকে করতে হয়েছে কারা বরন । তারপরও সকল উত্থান পতনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের তরে । নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধু ,বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে দেশব্যাপী কাজ করছে তারই হাতে গড়া সংগঠন আমরা’ক’ জন মুজিব সেনা। যেই দেশ ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া, যেই দেশের ভাষার দাবিতে সালাম,বরকত, রফিক জব্বরসহ কৃষক শ্রমিক ছাত্রের তাজা বুকের রক্ত ঢেলে দেয় রাজপথে , যেই দেশের জন্য ১৫ ই আগষ্টের কালো রাতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্ব পরিবারকে প্রান দিতে হয় । যেই দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নেয়ার পথে বাধা হয়ে দাাঁড়ায় একটা মহল । ২১ আগষ্টে গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। সেই দেশের প্রতিটি জেলায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে একজন এএফ জসিম উদ্দিনকে খুব প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্ট জনেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন ,বর্তমানে ভাইয়ের রাজনীতি আর টাকার রাজনীতির কাছে জিম্মি হয়ে গেছে সততার রাজনীতি। কিন্তু জসিম উদ্দিনরা কিংবদন্তী হয়ে চিরকালই থাকবেন । লক্ষ্মীপুরের রাজনীতিতে এএফ জসিম উদ্দিনের মত নেতৃত্ব খুব প্রয়োজন । কারন ওনার মত একজন মুজিবের আদর্শের সৈনিক জেলার নেতৃত্বে আসলে দলিয় কর্মকান্ড অনেকটাই সক্রিয় হবে । তিনি একজন সৎ , যোগ্য এবং নামাজি ব্যাক্তি । পেছনে তাকালে দেখা যায় এই নেতার অতিত রাজনৈতিক ইতহাস । যার কখনো কোন লোভ ছিলোনা , ১৯৮২ সালের ১৫ ই আগষ্টে ঢাকা কলেজে জাতীয় পতাকার বদলে কালো পতাকা উত্তেলণ করার একমাত্র সাহসী নেতা তৎকালীন ঢাকা কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি এই জসিম উদ্দিন । একমাত্র উদ্দেশ্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেননি তিনি । তাইতো ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দেশে আসার পর নিজের মধ্যে একধরণের শক্তি কাজ করতো । তিনি মনে করতেন এই ঢাকা কলেজে ছিলেন শেখ জামাল , শেখ কামাল এমনকি শেখ পরিবারের সদস্যরা এখানে পড়া লেখা করেছেন । তাদের মৃত্যুতে কেন শোক পালন করে কালো পতাকা উড়াবেনা ? এভাবে তিনি শেখ মুজিবের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় নিজেকে বিলিয়ে দিতেন । অথচ আজ কাদের হাতে নেতৃত্ব ? শুরে শুরে বলা যায়, কি দেখার কথা কি দেখছি , কি শুনার কি শুনছি, ৫১ বছর পরেও আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।
তিনি মুজিবকে ভালোবেসে প্রতিষ্ঠা করলেন ”আমরা ’ক’ জন মুজিব সেনা” নামক একটি সংগঠন। আজ সারা বাংলাদেশে এই মুজিব সেনার ব্যানারে চলছে মুজিবের আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমাজ পরিবর্তন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন রকম সামাজিক কাজ। তিনি ঢাকা কলেজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন । বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন । এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ- কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। আগামী ২১ শে নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এএফ জসিম উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী ও গতিশীল করবেন সেই সাথে তার নেতৃত্বে উন্নয়নের আলো জ্বলবে লক্ষ্মীপুর জেলায় ,দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা করেন লক্ষ্মীপুর জেলার আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই শীর্ষ পদের প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, দল করি মুজিবের আদর্শ মেনে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ উন্নয়নে মহাসড়কে নিয়েছেন তারই কন্যা আমাদের প্রিয় মমতাময়ী নেত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রুপকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আসছে জেলা আওয়ামিলীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আমাকে যদি শীর্ষ পদের (সাধারণ সম্পাদক) দায়িত্ব দেয়া হয় আমি জেলা আওয়ামিলীগ কে শক্তিশালী করতে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে এবং যে কোন ধরণের বানিজ্য ঠেকাতে এছাড়াও তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রাম হবে শহর বাস্তবায়নে আমার লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ এবং আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অত্যাধুনিক লক্ষ্মীপুর জেলা গঠনে, আগামীর সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সক্রিয় এবং শক্তিশালী করতে কাজ করে যাবার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন এই প্রবীণ নেতা ।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন এএফ জসিম উদ্দিনকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিলে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা , ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগকে গতিশীল ও সক্রিয় করতে জেলার বিভিন্ন রকম উন্নয়নমুলক কাজ সঠিকভাবে করতে বিশেষ ভুমিকা রাখবেন। দায়িত্ব পেলে সব ধরণের দূর্নীতি অনিয়ম নির্বাচন ও পদ বানিজ্যসহ বিভিন্ন বানিজ্য ঠেকাতে জেলার উন্নয়নে কাজ করবেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এএফ জসিম উদ্দিন ।