কমলনগর প্রতিনিধি ঃ পরিবার পরিজনকে ভালো রাখার স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে যেতে চেয়েছিলেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বাসিন্দা যুবক মো. জুয়েল। দরিদ্র বাবার অর্থনৈতিক চাকা সচল করতে নিজ ফুফু ও ফুফাতো ভাইয়ের প্রতি আস্থা রাখে তার পরিবার। সিঙ্গাপুরে যেতে ধার-দেনা করে আত্মীয়দের টাকা দেন তারা। কিন্তু সিঙ্গাপুর নয়, শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দর থেকে তাকে বিমানে করে চট্টগ্রামে নামিয়ে দেয় নিকট আত্মীয়রা।
প্রতারণার শিকার হয়ে পরিবারটি লক্ষ্মীপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালতের বিচারক তাদের মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু ঘটনার পর চক্রটি আত্মগোপনে চলে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের ফ্লাইটের কথা বলে জুয়েলকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এর পর শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হলে ফুফাতো ভাই তাকে নিয়ে বিমানে করে চট্টগ্রামে নামিয়ে দেয়। এ সময় একটি হোটেলে নিয়ে তাকে আটকে রেখে পরিবারকে সিঙ্গাপুরে পৌঁছানোর কথা জানাত বাধ্য করে। একপর্যায়ে তাকে পুনরায় ঢাকায় নিয়ে এসে ৩টি মোটরসাইকেলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে নামিয়ে দেয়া হয়।
এমন প্রতারণায় দরিদ্র পরিবারটি এখন দিশেহারা। ঘটনার বিচার চেয়ে জুয়েলের বাবা শহীজল গত ৯মে লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় শহীজল মাঝির বোন আলেয়া বেগম, ভাগনে আওলাদ হোসেন, আওলাদের শ্যালক সানী, ভাগনির স্বামী শামীম, ভাগনের স্ত্রী আয়েশাসহ ছয়জনকে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
জুয়েলের বাবা শহীজল মাঝি ও তার মা গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের সঙ্গে যে প্রতারণা করা হয়েছে তার বিচার চাই। আর কেউ যেন এ ধরণের প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে।
লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ বলেছেন, জুয়েল নামের এক যুবককে সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা বলে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে শুনেছি। আদালতে একটি মামলা হয়েছে বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।