লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ ভাস্কর মজুমদার জন্ম ১৯৭৮ সালে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সনাতন পরিবারে। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার পরিমলেন্দু মজুমদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য পাকিস্তানী সত্রুদের সাথে যুদ্ধ করেন।দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সবুজ শ্যামল বাংলার আকাশে টকটকে একটি লাল সূর্য উদিত হলো। বিজয় হওয়ার ৭ বছর পর স্বাধীন দেশে জন্ম নিলো তার সুযোগ্য সন্তান বহু গুনে গুণান্বিত ভাস্কর মজুমদার। মা প্রগতি বালা মজুমদার একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকা।
ভাস্কর মজুমদার নিজ গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শেষ করে বৃহত্তর রামগতি উপজেলার বি বি কে পাইলট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৯৪ সালে এসএসসি পাশ করেন। স্কুল জীবন থেকেই তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত স্কুলে ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন।
স্কুলজীবন শেষ করে যখন কলেজ জীবনে পা রাখলেন তখনই শুরু হলো তার রাজনীতি তিব্র থেকে তিব্রতর। এর পর ভর্তি হন কলেজে সেখানেও সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের দায়িত্বে থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করেন। ১৯৯৬ সালে এইচ এস সি পাশ করেন। ছাত্রলীগ করার দায়ে কলেজে অনেক নির্যাতনের শিকার হন ভাস্কর।এইচ এস সি এর ফাইনাল পরিক্ষার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পরীক্ষার পেপার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফার্মাসিস্ট এর ওপর একটি কোর্স কমপ্লিট করেন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা থেকে সর্ট ডিপ্লোমা ইন মেডিসিন এর উপর প্রশিক্ষণ নেন তিনি। তিনি রাজনীতিতে অত্যান্ত স্বচ্ছ একজন ব্যাক্তি।১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৯ পযর্ন্ত প্রায় দুই যুগ ধরে কমল নগর উপজেলার ৭ নং হাজির হাট ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ থেকে বর্তমান পযর্ন্ত কমল নগর উপজেলা ৭ নং হাজির হাট ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন। ভাস্কর মজুমদার ব্যাক্তিগত জীবনে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি।তিনি একজন মুজিব প্রিয় মানুষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে নিয়ে রাজনীতি করছেন। ২০১৯ সালে কমলনগর উপজেলা প্রথম বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি দায়িত্ব দিলে তিনি তা সঠিকভাবে পালন করেন যা আজো চলমান। বাংলাদেশ সংস্কৃতি ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তিনি ২০২২ সালে
ডিপ্লোমা ইন এষ্ট্রলজি প্রথম বর্ষে প্রথম বিভাগে উত্তির্ণ হন। এছাড়াও এই নেতা চলতি বছরে (২০২২ সাল) প্রথম কমল নগর উপজেলা বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি সংঘ কার্যক্রম হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।তিনি একাধারে কবি, সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক নেতা, এবং সাংবাদিক। ২০১৮ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেনজাতীয় দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকা দিয়ে।তারপর এশিয়ান টিভির কমলনগর উপজেলার দায়িত্বে আছেন ।
এছাড়াও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কমল নগর উপজেলার সিনিয়র সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একাধারে তিনি একজন কবিও। সমসাময়িক, দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে প্রায় দুইশতাধীক কবিতা লিখেছেন। যাহ বিভিন্ন পত্রিকা ম্যগাজিন এ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও ৩ টি উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষা। উপন্যাসগুলো হলো আজও কাঁদে নিলাঞ্জনা, কালো রাত, বিভর্ষ । পাশাপাশি লিখছেন নাটক।
বর্তমানে ১০ টি নাটকের পান্ডুলিপি জমা আছে। তারমধ্যে ওরাই দালাল, সান্টু দালালের কেরামতি,মেঘনার করালে শেষ খন্ড ভূমি অন্যতম। লিখেছেন স্বপ্নের পদ্মা সেতু অবলম্বনে নাটক “এক চোখা, এছাড়াও “ঝংকার ” শহীদ বেনুর আর্তনাদ ” সহ উপন্যাসগুলো লেখার কাজ চলমান রয়েছে।পারিবারিক দিক থেকে অনেক সম্ভ্রান্ত ওদের পরিবার। ভাস্কর মজুমদার এর দাদু সূর্য কুমার মজুমদার তৎকালীন বৃহত্তর রামগতি উপজেলা প্রথম ডিগ্রী পাশ করেন। পিশি শ্যামলী মজুমদার বৃহত্তর রামগতি উপজেলা প্রথম নারী এস এস সি পাশ।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর রামগতি উপজেলা প্রথম শহীদ চীত্তেন্দু মজুমদার (বেনু ) আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার পরিমলেন্দু মজুমদার দুইজন আপন ছোট ভাই। তিনি আরো বলেন যতদিন বেঁচে থাকবো মানুষের জন্য জনগণের জন্য কাজ করে যাবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার নেতৃত্বে দলের জন্য কাজ করে যাবো। সর্বশেষ একটি কথা বলবো যতদিন রবে পদ্মা মেঘনা গৌরি বহমান, তত রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষের ভালোবাসা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে জনগনের জন্য কাজ করার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন এই বহু গুনে গুণান্বিত ব্যাক্তি ভাস্কর মজুমদার।