মাথা ব্যথার [৫] দোয়া ও ঘরোয়া চিকিৎসা।

মাথা ব্যথা হলে করনীয়

 

মাথা ব্যাথা উপশম হবার দোয়া –

মাথা ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। মাঝে মধ্যে একটু-আধটু মাথা ব্যথা হয় না- এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঘুম কম হলে অথবা অধিক দুশ্চিন্তায় কিংবা অন্য কারণ-অকারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই মাথা ব্যথা হলে না ঘাবড়িয়ে ব্যথা না হওয়ার মাধ্যম ও চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই শ্রেয়।কোরআন-হাদিসে  মাথা ব্যথার দোয়া  বিশেষভাবে উল্লেখ নেই।

তবে আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা কোরআন-হাদিসের আলোকে বিভিন্ন আমল নির্ণয় করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন দোয়াও উল্লেখ করেছেন। সেগুলো অনুযায়ী আমল করলে মাইগ্রেনসহ মাথা ব্যথার দ্রুত উপশম হবে ইনশাআল্লাহ।

 

মাথা ব্যথার দোয়া ১- সাতবার নিম্নোক্ত দরুদটি পাঠ করা-

اللهم صل على سيدنا محمد وعلى اله وصحبه وسلم

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মুহাম্মাদিন, ওয়ালা আলিহি ওয়া সাহবিহি ওয়া সাল্লাম

 

মাথা ব্যথার দোয়া ২-  তিন বার এই দোয়া পড়া-

اعوذ بكلمات الله التامات من شر ما أعاني وأجد و أحاذر

উচ্চারণ : আউজু বিকালিমা তিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা তুআনি ওয়া তাজিদু ওয়া তুহাজিরু।

অর্থ : যে কষ্ট আমি ভোগ করছি এবং যে অনিষ্টে আক্রান্ত হয়েছি, আল্লাহ তাআলার পূর্ণাঙ্গ বাক্যের মাধ্যমে তা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।

 

মাথা ব্যথার দোয়া ৩- ছয় বার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতায়ানির রাজিম পড়া এবং একবার ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়া।

পড়া শেষে সম্ভব হলে হাত দিয়ে তিনবার মাটিতে মৃদুভাবে আঘাত করবে, যেন ব্যথা মাটিতে স্থানান্তরিত হয়।

 

 

মাথা ব্যথার দোয়া ৪- একবার এই দোয়া পড়া

بسم الله الشافي بسم الله الكافي اللهم اشفني وعافني و اعفو عني

উচ্চারণ : বিসমিল্লাহিশ শাফি, বিসমিল্লাহি কাফি; আল্লাহুম্মাশ ফিনি ওয়াফিনি ওয়া‘ফু আন্নি

অর্থ : আরোগ্যদাতা আল্লাহর নামে, পূর্ণতা দানকারী আল্লাহর নামে; হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থতা দান করুন, আমাকে আরোগ্য দিন এবং আমাকে ক্ষমা করুন।

 

মাথা ব্যথার দোয়া ৫- উসমান ইবনে আবিল আস (রা.)-এর ব্যাপারে বর্ণিত আছে, তিনি রসুল (সা.)-কে জানিয়েছিলেন যে, যখন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তখন থেকে তিনি মাথা ব্যাথা ও তার শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন।

তখন রসুল (সা.) বললেন, “যে স্থানে তোমার ব্যথা হচ্ছে, সেখানে হাত রেখে তিন বার ‘বিসমিল্লাহ’ বলো। সাত বার ‘আউজু বিকুদরাতিহি মিন শাররি মা তুআনি ওয়া তাজিদু ওয়া তুহাজিরু। (শুরুহুল হাদিস, হাদিস : ১৫৮)

 

আরো পড়ুন ‘ রোজা রাখার ১০টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা ‘ c l i c k  here

এছাড়া মাথা ব্যাথা হলে  করনীয়-

 

মাথা ব্যথার ঔষধ-

মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন প্যারাসিটামল ইত্যাদি সেবন করা যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসার-রোধী ওষুধ খেতে হবে। অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ সেবনেও মাথাব্যথা হতে পারে। এ সমস্যাকে বলে মেডিসিন ওভার ইউজ হেডেক। তাই খুব প্রয়োজন না হলে ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ না খাওয়াই ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদি কিছু ওষুধ সেবনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

 

দ্রুত মাথা ব্যাথা থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়-

আদাঃ আদা মাথার রক্তনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। এতে মাথা ব্যাথা কমবে।
সমপরিমাণ আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। মাথা ব্যাথা থাকলে দিনে দুই থেকে তিনবার এটি খেতে পারেন।
এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ পানির মধ্যে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি কয়েক মিনিটের জন্য কপালে লাগিয়ে রাখুন। এতে ব্যথা কমবে। এ ছাড়া আদা গুঁড়ো বা কাঁচা আদা সিদ্ধ করতে পারেন। এবার এই সিদ্ধ পানিতে ভাপ নিন। এ ছাড়া মাথা ব্যথা দূর করতে দুই টুকরো আদার ক্যান্ডিও চিবুতে পারেন।

 

পুদিনা পাতার রসঃ পুদিনা পাতায় রয়েছে ম্যানথল ও ম্যানথন। এই উপাদানগুলো মাথা ব্যথা দূর করার জন্য খুব উপকারী।
এক মুঠো পুদিনা পাতা নিন। পাতা থেকে রস বের করুন। এই রস কপালে মাখুন। এ ছাড়া পুদিনার চাও খেতে পারেন।

বরফের প্যাকঃ বরফ প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এটি ব্যথা উপশম করবে।
বরফের প্যাক ঘাড়ে দিন। এতে মাইগ্রেনের ব্যাথা অনেকটা উপশম হবে। এ ছাড়া একটি ধোয়া তোয়ালে বা কাপড়ের টুকরো বরফঠান্ডা পানিতে ভেজান। এটি মাথায় পাঁচ মিনিট রাখুন। দিনে কয়েকবার এটি করতে পারেন। তবে যাদের ঠান্ডার সমস্যার রয়েছে তারা এটি না করলেই ভালো।

 

আরও পড়ুনঃ গরমে শরীর শীতল রাখার উপায় CLICK

2 thoughts on “মাথা ব্যথার [৫] দোয়া ও ঘরোয়া চিকিৎসা।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: