নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জে ইছাপুর ইউনিয়নের তৃণমূলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোননয়ন দেওয়ায় প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা । দলীয় কোন সদস্য না হয়েও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে না থেকেও শাহনাজ আক্তার (গৃহিনী) নামে এক নারীর মনোনয়ন পাওয়ায় আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতাকর্মী এবং ত্যাগী মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন অভিমানী হয়ে গণপদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ ঘোষনা দেন তারা।
জানা যায়, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য স্থানীয় ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক শামছুল ইসলাম ফারুক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আমীর হোসেন খানসহ ৩ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রাজনীতিতে সক্রিয় নন ওই ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মৃত শহিদুল্লাহর স্ত্রী শাহনাজ (গৃহিনী)। এতে করে তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ হন। তারা তা মানতে না পেরে প্রতিবাদী হয়ে উঠে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে বক্তব্য রাখেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন খাঁন, ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এসআই ফারুক, ইউনিয়ন সহ-সভাপতি অলি উল্যাহ।
তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘ সময় আওয়ামী রাজনীতি করে আজ আমরা অবহেলিত। কারন ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে শাহনাজ আক্তার নামে যাকে মনোননয়ন দেয়া হয়েছে তিনি আওয়ামী লীগের কোন সদস্য নন। তাছাড়া তৃণমুল থেকে যে ৩ জনের নাম পাঠানো হয়েছে ওই তালিকায় তার নাম ছিলনা। কিন্তু কিভাবে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তা আজ রহস্য ঘেরা। তাকে মনোনীত করায় স্থানীয়ভাবে এখানকার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা এখন পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে। এমতাবস্থায় আপনার (শেখ হাসিনার) সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনা করে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবীসহ দলকে বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে তা না হলে গণ পদত্যাগ ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা বলে জানান তারা।
এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।