সবুজ সাহা নিজস্ব প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে উজানের পানির চাপে উপকূলে জোয়ারে পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নদীর তীর রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিংসহ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু না করায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতিথিতে ভোগান্তি পোঁহাতে হচ্ছে উপকূলীয় মানুষের।
সোমবার (৩জুলাই) থেকে আজ বুধবার তথ্য পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা চর রমিজ,চর গৌসাই,বড়খেরী ইউনিয়নের অতিরিক্ত জোয়ারে পানি প্লাবিত হয়ে পানি বন্ধী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।
সেনাবাহিনী দিয়ে নদী তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয়দের দাবি থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর ১বছর ১ মাস পার হয়ে যাচ্ছে অথচ কাজের কাজ কিছু হয়নি বিবিরহাট,রঘুনাথপুর, চর আলগী সহ কয়েকটি গ্রামের পাশে।তবে হালকা কিছু বস্তা পেলে কাজের নাম করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসীন্দারা।
এবিষয়ে জানতে ,ডাম্পিং কাজে কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি । শুষ্ক মৌসুমে নদীভাঙন অব্যাহত ছিল। বর্তমান বর্ষা নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে ভাঙনে ৭নং চর রমিজ ইউনিয়ন ওবদ বড়খেরী অনেক আংশ অচিরে দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এবিষয়ে বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাকসুদ মিজান বলেন,চলমান কিছু কাজ করছে আমার এলাকায় যাহা ডাম্পিং পর কোন অগ্রগতি আর দেখা মেলেনি।আমার বড়খেরী নদী বাঁধ না থাকায় চলমান কিছু রাস্তা মেরামত করতে পারছি না, একই রকম জোয়ারে পানি প্রায় লোকালয়ে আসে যার কারণে আমার ইউনিয়নে অনেক মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে এলজিইডি রামগতি উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানান, আমার উপজেলা একটি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা যা কারণে আমার উপজেলা নদী বাঁধের কাজ না হওয়া পর্যন্ত রামগতি কয়েকটি উন্নয়ন বন্ধ রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম রামগতি কোরের বাড়ি সড়কটি যাহা সম্ভবত বাঁধ না হওয়া পর্যন্ত এসড়কে সড়ক ও জনপদ কোন মেরামত কাজ করবেন না।