ডালিম কুমার দাস টিটু : লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় অপরাধ দমন সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন রামগতি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোলাইমান । রামগতি থানায় যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেক সুনাম অর্জন করেছেন এই কর্মকর্তা । এছাড়া পেশাগত দায়িত্বের বাইরেও দরিদ্র মানুষের জন্য যে অনেক কিছু করা যায় তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। পুরো রামগতি উপজেলার আপামর জনসাধারণের আস্থার প্রতীক হিসেবে রয়েছেন এই কর্মকর্তা। তার বিশেষ অভিযানের মধ্যে উল্যেখযোগ্য হলো মাদকদ্রব্য, অস্ত্র উদ্ধার, ওয়ারেন্ট ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার এবং বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে পুলিশি সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়া ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রনসহ সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে তিনি অবদান রাখছেন।
সমাজের বঞ্চিত হত-দরিদ্রদের জন্য তিনি অনেক কাজ করছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি যা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন, তা দেখে প্রশংসায় ভাসছেন উপজেলায়। তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে কেবল পেশাগত দায়িত্বই শেষ নয়, মানবিক চিন্তার জায়গা থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব। নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। সমাজ পরিবর্তনে, মানুষের কল্যাণে, মানবতার স্বার্থে পুলিশের কার্যকর ভূমিকায় অবিরাম ব্যতিক্রমী অবদান রেখে চলছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও নিজের কর্মস্থলে এ রকম কাজ তিনি অনেক জায়গায় করেছেন। পুলিশি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সমাজ ও মানুষের জন্য কাজ করা ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তা চেতনায় তাকে দিয়েছে বিশেষ খ্যাতি তিনি মানুষের রিদয়ের ব্যাক্তিত্ব হয়ে গেলেন। করোনা কালীন সময়ে অসহায়দের মাঝে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন এই কর্মকর্তা। পুলিশ সম্পর্কে মানুষের যে কিছুটা নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তিনি তা পাল্টে দিয়েছেন। পুলিশ কতটা মানবিক, কতটা সহায়ক, কতটা প্রয়োজন, কতটা আন্তরিক এসব দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ শত শত বড় কর্মকর্তা আছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পর আর কোনো কাজে তাদের দেখা যায় না। কিন্তু ওসি ওসালাইমান পেশাগত দায়িত্ব পালনের শুরুতেই সাধারণ মানুষের কথা ভেবেছেন, তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন, বর্তমানে লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বিরামহীন শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন , ছড়াচ্ছেন মানবিকতার আলো। ওসি সোলাইমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক নতুন দিনকে বলেন, আমি সব সময় মানুষ এবং মানবতার জন্য কাজ করে যাবো এটাই স্বাভাবিক । আমি আনন্দিত এবং গর্বিত যে একজন সৎ , পরিশ্রমী পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান (পিপিএম-সেবা) মহোদয়ের মত একজন স্যার এর নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষের সেবা করতে পারছি । আমার প্রত্যেকটি ভালো কাজের স্বিকৃতি রামগতি উপজেলার সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার পাথেয় হয়ে থাকবে ।