লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য ইমাম হোসেন সুমনকে হয়রানি করার অভিযোগ প্রবাসীর বিরুদ্ধে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য সুমন খানের পৈত্রিক সম্পত্তিতে স্থানীয় প্রবাসী আহছান উল্যার কুনজরের অভিযোগ উঠেছে । জানাযায় সৌদি প্রবাসী আহছান উল্যার জন্মস্থান চৌমুহনী। ৯০ দশকের আগের দিকে তিনি লক্ষ্মীপুর দত্ত পাড়াতে অবস্থান নেন। দত্তপাড়া ইউনিয়নের দর্জি পাড়া গ্রামে একটু জমি কিনে বসবাস শুরু করেন ।

পরবর্তীতে জীবিকার টানে সৌদি আরবে যান। কিন্তু এত বছর পর বর্তমানে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুমন মেম্বারের পৈত্রিক সম্পত্তিতে জমি পাবে বলে সুমন মেম্বারকে  হয়রানি করার অভিযোগ উঠে। ধপায় ধপায় বৈঠক হলেও সেই বৈঠকের রায় মেনে নিতে রাজি নয় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী হোসনেয়ার বেগম । অন্যদিকে,সুমন মেম্বার  দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।একাধিকবার  বিপুল ভোটে নির্বাচিত এই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে হতাশ স্থানীয়রা।

দীর্ঘ সময় ইউপি সদস্য থেকে কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি এই ইউপি সদস্য। এলাকার মানুষকে ভালবেসে তাদের সেবা করে এবং সরকার দেয়া গরীবের সব ধরনের সুবিধা তাদের মাঝে পৌঁছে দিতে সক্ষম হন তিনি। দীর্ঘ সময় ইউপি সদস্য থেকে কিছুই করতে পারেননি এই জনপ্রতিনিধি। বাপ দাদার পুরনো সেই ভাঙ্গা টিনের ঘরে এখনো তিনি বসবাস করছেন। তেমন ব্যাক্তিকে নিয়ে এমন অভিযোগ হাস্যকর মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা ।শনিবার (৮ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইউপি সদস্য সুমন মেম্বার তার নিজের পৈতৃক সম্পত্তিতে দুইটি দোকান ঘর নির্মাণ করছেন । কিন্তু সৌদি প্রবাসী আহসান উল্লাহর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম এই ঘর নির্মাণে বাধা দেয়। সুমন মেম্বার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাকে কাগজ পত্র দেখাতে বলে। কিন্তু তিনি কাগজ দেখাতে না পেরে ইউপি সদস্য সুমন মেম্বারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রসঙ্গত, প্রবাসী আহছান উল্লাহ জমি ক্রয় করেছেন সঠিক। দাগ নাম্বার  খতিয়ান এবং  রেকর্ড অনুযায়ী তিনি সম্পত্তি পাবেন পুকুরে। কিন্তু তিনি পুকুরের সম্পত্তি না নিয়ে জোরপূর্বক সুমন মেম্বারের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সুমন মেম্বর সরকার এবং প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে উভয়ে সাংবাদিকদের কে অবগত করেন। সুমন মেম্বার জানান, আহসান উল্লার  বাড়ি চৌমুহনী তিনি চৌমুহনী থেকে এসে ১৯৯৪ সালে এখানে জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। তিনি বলেন আহসান উল্লাহ ১২১ দাগে পুকুরের সম্পত্তি পাবে। তিনি সেখানে সম্পত্তি না নিয়ে আমার বাবার সম্পত্তি ১২৫ দাগের ভিটা দাবি করছেন। বিভিন্ন সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি বারবার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করলেও প্রবাসী আহসান উল্লাহর স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম  তা মানতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে আমি সরকার এবং প্রশাসনের কাছে বারবার আমাকে হয়রানি করার জন্য সুস্থ বিচার দাবি করছি। প্রবাসী আহসান উল্লার  স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম বলেন, আমাদের পুকুরে কোন সম্পত্তি নেই আমরা সম্পত্তি এখানেই পাবো। আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা?  এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন রেকর্ডটা সুমন মেম্বারের নামে। তাই রেকর্ড অনুযায়ী তারা এই জমিন দাবি করছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সুমন মেম্বার দীর্ঘ সময়ের বারবার নির্বাচিত মেম্বার। আজ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ কেউ করতে পারেনি । তিনি সবসময় এলাকার মানুষের সাথে থেকে এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। জমির বিষয়ে তারা বলেন এই জমিটি সুমন মেম্বারের পৈত্রিক সম্পত্তি তার পৈত্রিক  সম্পত্তিতে তারা ঘর তুলবে এটাই স্বাভাবিক। হোসনেয়ারা বেগমের বাধা দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা আরো বলে, এই জমিটি নিয়ে বারবার সালিশ বৈঠক হলেও  কোন রায় মেনে নিচ্ছে না হোসনেয়ারা বেগম। সার্ভেয়ার  নিজে এসে হোসনেয়ারা বেগমকে জমি ভাগ করে দিলে তিনি রাজি হন ।  কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবারও সুমন মেম্বারের জমিন  দখলের চেষ্টা করেন।বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত

পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তারা  শোনে না। জমি নিয়ে আদালতে তাদের মামলা রয়েছে। আদালত ছাড়া তাদের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: