লক্ষ্মীপুরে ইলিশ অভিযানে তৎপর রয়েছেন উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও কোস্টগার্ড

ডালিম কুমার দাস টিটু ঃ মা ইলিশ রক্ষায়  লক্ষ্মীপুরে চলছে ২২ দিনের
অভিযান ।৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ২৮ অক্টোবর
মধ্যরাত পর্যন্ত। অভিযানকে সফল করার লক্ষে ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছেন
কোস্টগার্ড , নৌ পুলিশ এবং মৎস কর্মকর্তারা । বিশেষ করে কমল উপজেলার
মাতাব্বর হাট লুধুয়া ঘাট , বাত্তির খাল ,মতির হাট হেতনার খাল , নাসির
গঞ্জ এবং মাঝের চরসহ এই এরিয়াতে কঠোর অভিযানে আছে কোস্টগার্ড । এই
এরিয়াতে কোন জেলে এবং কোন ধরণের কারেন্ট জাল আটক হতে দেখা যায়নি । এসকল
অঞ্চলের জেলেরা অভিযান পরবর্তী মাছ শিকারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে
খবর পাওয়া যায়। কোস্টগার্ডের উদ্যেগে বাংলাদেশের জেলেদের বোটের প্রতীক
স্বরুপ বোটের দুই পাশে লাল সবুজের চিহ্ণ দিয়ে রেখেছে। এছাড়াও বাঁশের
মাধ্যমে পতাকা উড়িয়ে রেখেছে  যার কারনে অন্য কোন দেশের বোট বাংলাদেশ
সীমানা অতিক্রম করতে পারবেনা ।  যদি কোন অসাধু জেলেকে পাওয়া যায় তাহলে
জাল এবং বোট জব্দসহ সেই ব্যাক্তিকে আটক করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেন
তারা । ২৪ ঘন্টা কমলনগর মৎস অফিসের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্ততি নেয়া
হয়েছে বলে জানান কমলনগর মৎস অফিস । মৎস কর্মকর্তা আব্দুল কদ্দুস জানান,
আামরা সার্বক্ষনিক টহলের উপরে আছি । আমরা  সতর্ক অবস্থানে আছি । সেই সাথে
কোস্টগার্ড  সমুদ্রের কাছাকাছি বাংলাদেশের বর্ডারেও টহল দিচ্ছে।  ভারতীয়
জেলেদের বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্টগার্ড বলেন  ভারতীয় জেলে বাংলাদেশ
সীমান্তে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি । আমাদের বোটে
লাল সবুজের চিহ্ন আছে । শতভাগ অভিযান সফল হবে বলে তাদের দাবি । জেলেদের
চালে কোন ধরনের অনিয়ম হয়না বলেও জানান মৎস কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস।
তবে রায়পুর উপজেলায় ভিন্ন চিত্র , ইলিশ ধরার  নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে
মেঘনায় রাতের অন্ধকারে শত শত টন ইলিশ ধরছে  স্থানীয় একশ্রেনীর  অসাধু
জেলে। এই প্রথম উপজেলায় কোস্টগার্ড না রাখায় স্থানীয় প্রশাসন ও
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে চলছে ইলিশ ধরার উৎসব চলছে বলে
জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি ।  রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত
রায়পুরের ঘাটগুলোতে গোপনে এবং ওপেনে চলে বেচাকেনা। কোস্টগার্ডের জন্য
মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা এমনকি  ফোনে অনুরোধ করলেও কোস্টগার্ড দেওয়া হয়নি ।
কিন্তু দিনের বেলা লোক দেখানোর জন্য নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা
হলেও রাতে নিরাপত্তার দোহাই দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী  । কোন আইনি তৎপরতা
নেই বল্লেই চলে।যার কারনেই নৌকা নিয়ে মা ইলিশ ধরছেন জেলেরা। রায়পুর
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত
তার কাছে আসেনি। এবারই প্রথম তাদের কোস্টগার্ড না দেওয়ায় তারা সমস্যায়
পড়েছেন। সব মিলিয়ে কমলনগরে  কোস্টগার্ড এবং মৎস কর্মকর্তার গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকায় শতভাগ অভিযান সফল হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: