লক্ষ্মীপুরে জনবল সংকটে সোনালী ব্যাংক , ভোগান্তির শীকার গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ লক্ষ্মীপুরে জনবল সংকটে সোনালী ব্যাংক , ভোগান্তির শীকার গ্রাহকরা  । সূত্রমতে ৫৬টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত মাত্র ১৭ জন । জেলার প্রায় ৩০ হাজারের অধিক গ্রাহককে সেবা দিচ্ছেন তারা। সাধারণ গ্রাহকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আর্থিক সেবাও দিতে হয় শাখাটির। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সেবার গতি কমছে এতে ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রাহকরা। বাড়তি পরিশ্রমেও গ্রাহক সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা । পাঁচটি উপজেলায় ১১টি শাখা ও একটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। সব শাখারই আর্থিক লেনদেন হয় সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখা থেকে। সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা, অবসর ভাতাসহ সব ধরনের ভাতা উত্তোলন করা হয় এ শাখায়। এছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের ব্যক্তিগত হিসাবের লেনদেনসহ দৈনিক প্রায় গড়ে ১ হাজার এর অধিক গ্রাহক সেবা নিতে আসেন জেলার প্রধান শাখায় । প্রতিষ্ঠানটিতে জনবলের অভাবে গ্রাহকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। প্রতিদিন শাখাটিতে গ্রাহকের চাপ লেগেই থাকে।  করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন ধরনের বালাই নেই ফলে করোনা ঝুঁকি বেড়েই চলেছে ।বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখায় বর্তমান কর্মরতদের মধ্যে তিনজন প্রিন্সিপাল অফিসার রয়েছেন। আছেন ছয়জন সিনিয়ার অফিসার ও পাঁচজন অফিসার (ক্যাশ)। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণীর ১০ জনের জায়গায় গাড়িচালকসহ কর্মরত তিনজন কর্মচারী। গ্রাহক সেবার পরিধির তুলনায় যা খুবই কম।জানা যায়, শাখাটির ক্যাশ ইনচার্জের দায়িত্বে রয়েছেন বিপ্লব চন্দ্র দাস। যুগ্ম জিম্মাদারের দায়িত্বে রয়েছেন ফারুক হোসেন। অন্যদিকে ক্যাশ কাউন্টারে গ্রাহকদের সঙ্গে নগদ লেনদেনের জন্য আটজন অফিসার থাকার কথা কিন্তু রয়েছেন চারজন। অফিসার সংকটের কারণে সহকারী অফিসার (গ্রেড-২) একজন ও একজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী শাখাটির ক্যাশ কাউন্টারে নগদ লেনদেনের কাজ করছেন।লোকবলের সংকট থাকলেও গ্রাহক সেবায় চেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকছে না বলে দাবি করেন সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখার ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শামসুল আলম।সোনালী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম ভবতোষ চক্রবর্তী জনবল সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে  বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি কাজ করছেন।

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: