লক্ষ্মীপুরে মাকে পিটানো ছেলের নাটকিয় ভঙ্গি , চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ঃ মায়ের কান্দন যাবজ্জীবন, দু-চার দিন বোনের কান্দনরে ,ঘরের পরিজনের কান্দন, কয়েকদিন পর থাকেনা, দুঃখের দরদি আমার জনম দুঃখি মা। লক্ষ্মীপুরে নিজের বৃদ্ধা মাকে পিটিালো তার নিজের সন্তান আমজাদ
হোসেন ও তার স্ত্রী । অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ড মুক্তারামপুর গ্রামের পরশ মোহাম্মদ হাজী বাড়ীতে ।  তারার বাগো বাড়ী নামে পরিচিত  । আমজাদ এই বাড়ির মৃত নুরুল
ইসলামের ছেলে । খবর নিয়ে জানাযায় , কথায় কথায় আমজাদ ও তার স্ত্রী বৃদ্ধা মাকে মারধর করে । অনাহারে কষ্টে দিন কাটায় বৃদ্ধা মা । সাম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে মিথ্যার মধ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে আমজাদ ও তার পরিবার। রবিবার (১৫ অগাস্ট ) সামান্য একটি ঘটনা নিয়ে  বৃদ্ধ মাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠে ।  পরবর্তিতে বিচার চেয়ে মা ১ নং উত্তর হামছাদী ইউপি
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান মা এবং ছেলে উভয়কে  ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলে । মায়ের কথা এবং ছেলের বক্তব্য শুনে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছেলে আমজাদকে সতর্ক  করে দেয় চেয়ারম্যান । যেন আর কখনো মাকে নির্যাতন না করে । ছেলেকে ভয় দেখানোর জন্য চেয়ারম্যান তাকে বিভিন্নরকম শাসনমূলক কথা বলে । চেয়ারম্যান বিষয়টি সম্পর্কে  ছেলের কাছে জানতে চাইলে  আমজাদ টয়লেটে যাবে বলে চলে যায়। শুরু হয় নাটকের মূল রহস্য , বেশ কিছুক্ষণ টয়লেটে থাকার পর আমজাদের স্ত্রী টয়লেটে উঁকি দিয়ে  দেখে আমজাদ  পড়ে আছে । উপস্থিত সকলে ধরাধরি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় । হাসপাতালে আসার পর আমজাদ সুস্থ হয়ে যায়। তারপর চেয়ারম্যান নজরুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে । স্থানীয়রা জানান, আমজাদ নিজের মাকে দেখভালো
করেনা ,বৃদ্ধ মা না খেয়ে থাকলেও  তার যত্ন নেয়না মাঝে মাঝে মায়ের ওপর শারিরিক  আঘাত করে । চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ  মিথ্যে বলে জানান তারা ।  স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ মালেক জানান, আমজাদ তার মাকে ভাত
খাওয়ায় না, এ নিয়ে বারবার শালিস দরবার হয়। সোমবার তার বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বৃদ্ধা মা বিচার ছেয়ে পরিষদে আসেন। এ ঘটনায় আমজাদ পরিষদে এসে অজ্ঞান হওয়ার ভান ধরে। আমজাদের বক্তব্য জানতে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান সে বাড়ি চলে গেছে । পরবর্তিতে আমজাদের ফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি । চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, পৃথিবীতে মায়ের ওপর আপন কেহ নাই । যেই মা ১০ মাস ১০ দিন গর্বে ধারন করে আমাদের জন্ম দিয়েছে সেই মায়ের গায়ে আঘাত করা এটা কখনোই মেনে নেয়া যায়না । তারপরও মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয় আর যেন কখনো এমন ঘটনা না করে । কিন্তু টয়লেটে যাবার নাম করে আমজাদ আমার নামে যেই মিথ্যাচার করেছে সত্যি দুঃখজনক ।

Attachments area

how do you feel about this website ?

%d bloggers like this: