ডালিম কুমার দাস টিটু ঃ লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার ৭ নং দরবেশপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আজমত উল্যাহ সড়কটির বেহাল অবস্থা । ৮ বছর আগে ইটের সলিং করা হলেও দীর্ঘ সময় মেরামত হয়নি এই রাস্তাটি। বছরের পর বছর চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকাবাসীকে। সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশে এখনো এমন রাস্তা স্থানীয়দের জন্য দূর্ভাগ্য। প্রতিদিন এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার পথচারী । শীঘ্রই এই রাস্তাটি পাকা করার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায় , মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দীর্ঘ ৫০ বছর এই রাস্তাটি কোন জনপ্রতিনিধির চোখে পড়েনি । ২০১৪ সালে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাস্তাটিকে ইটের সলিংয়ে উন্নিত করে । কিন্তু দূর্ভাগ্য সেই থেকে আজ পর্যন্ত এই রাস্তাটির কোন সংস্কার হচ্ছেনা । প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। বর্তমানে এই রাস্তাটি এখন ভেঙ্গে জরাজির্ণ হয়ে আছে অনেকেই এই রাস্তাটিকে মুড়ির টিনের রাস্তা বলে। বালুয়া চমুহনী থেকে জকশিন বাজারের পাশে আজমত উল্যাহ সড়কটির আশে পাশে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , এতিমখানা, খানকায়ে মসজিদ, ১১ শরিপসহ নাম করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান । বর্ষাকালে শিক্ষার্থীরা স্কুল- মাদ্রাসায় যেতে পারেনা । রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। দূর্ভোগে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। একজন মুমূর্ষ রোগিকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে যেতে পথেই মারা যাওয়ার উপক্রম হয়। অতি দ্রæত এই রাস্তাটি পাকা করে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
বিশিষ্ট সমাজসেবক কাসেম বলেন, এই রাস্তাটি পাকা হলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে, সরকারের কাচে অতি দ্রুত রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানান তিনি ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন জানান, দীর্ঘ বছর থেকে এই রাস্তাটির বেহাল অবস্থা । ২০১৪ সালে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রাস্তাটি সলিং করে দিলেও আজ পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার করা হয়নি রাস্তাটি অতি দ্রুত এই সড়কটি পাকা করার দাবি জানান এই জন প্রতিনিধি ।