চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়ক এলাকার আবু বক্বর আস-ছিদ্দিক (রাঃ) ক্বওমী মাদ্রাসা থেকে গতকাল রাত ১১টায় হেফজ বিভাগে অধ্যায়নরত হাবিবুর রহমান(১৪) নামের এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবী ঐ ছাত্র গলায় গামছা পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্র বলছে, নির্যাতনের কারনেই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে রাতে মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকাবাসী মাদ্রাসার অফিসকক্ষে তালা লাগিয়ে দেয়। এলাকাবাসী এসময় মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর দৈহিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কপিলউদ্দিন খান দেশরিভিউকে বলেন, রাত এগারোটার সময় মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক আমার বাসায় এসে জানান বিকালে মাদ্রাসার ভেতরে এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে তাই আমাকে মাদ্রাসায় যেতে হবে। আমি তাদের কাছে জানতে চেয়েছি, বিকালে আত্মহত্যা করেছে আপনারা রাতে আসলেন কেন? কাউন্সিলর কপিলউদ্দিন এসময় বলেন, লাশের শরীরে নির্যাতন ও আঘাতের দাগ রয়েছে। এছাড়াও লাশটি দেখে মনে হয়নি ছাত্রটি ফাঁসিতে ঝুলে মারা যেতে পারে।
জানা গেছে কয়েক বছর আগে বিদেশী অর্থায়নে বিশাল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০হাজার মুসল্লী একসাথে নামাজ পড়তে পারবে। এলাকার কারো সাথে সম্পৃক্ততা নেই বলে স্হানীয় মুসল্লিরা উক্ত মসজিদে নামাজ পড়েনা বলে একটা ফ্লোরও পূর্ণ হয় না। শুধুমাত্র শিক্ষক এবং মাদ্রাসার ২/৩ শত ছাত্ররাই নামাজ পড়ে। মাদ্রাসাটির পরিচালনায় থাকা সবাই বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছে। এলাকাবাসীর সাথে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মকর্তাদের সুসম্পর্ক ছিলো না।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে ‘আত্মহত্যা’ বললেও ছেলেটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে তার পরিবার। নিহত ছাত্র হাবিবুর রহমান খাগড়াছড়ির দীঘিনালার অনাথ আশ্রম এলাকার জনৈক আনিসুলের সন্তান বলে জানা গেছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজনরাও ছুটে এসেছে। বর্তমানে হাবিবুর রহমানের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে।