২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৭৫। শহীদ মিনারে দলে দলে ফুল দিচ্ছে মানুষ, শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ভাষাশহীদদের প্রতি।
আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদার দাবি, স্বাধীকার সংগ্রাম ও আর্থ-সামাজিক অর্জনের ভিত্তি মহান একুশ। ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত যুক্তফ্রন্ট ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের আগে তাদের প্রতিশ্রুত ২১-দফার ১ম দফায় ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা। অন্য কোন উপায় না দেখে বাঙালির ভাষার দাবি মেনে ১৯৫৬ ও ১৯৬২ সালে পাকিস্তানে প্রথম ও দ্বিতীয় সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
গৌরবোজ্জ্বল এই স্বীকৃতি আদায়ের পর ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঐতিহাসিক ৬-দফা ঘোষণা করেন। তারপর ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুথান এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনদেশে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তারিখে সংবিধান সম্পর্কিত আইন গৃহীত হয়। সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয় : এই প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।
১৯৭১ সালে পাক-বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর গোলাম আজম-নিজামীগং কর্তৃক ধ্বংসকৃত শহীদ মিনার বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭২ সালে পুনর্নিমাণ, সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রথম বাংলায় ভাষণ ,এই সবই প্রমাণ করে বাঙালির আত্মপরিচয়ের ভিত্তি বাংলাভাষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আপসহীন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে প্রতিবারই জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সরকার বাংলাভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
ভিডিও তে ১৯৭৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনারে দলে দলে ফুল দিচ্ছে মানুষ, শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ভাষাশহীদদের প্রতি। সেইসাথে স্লোগান দিচ্ছে “এক নেতা, এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ “